বর্তমান  কম বেশি সবাই আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন কম বেশি সবাই বাড়িতে এক থেকে  দুইটি মোবাইল ফোন রয়েছে।আর সবার ওই বাড়িতে ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা কিন্তু সব সময় বাড়িতেই থাকে।তারা বাড়িতে যে মোবাইল ফোন টি থাকে সেটা চালার জন্য তারা অনেক বেশি আগ্রহ হয়ে থাকে। তার কারণ হলো যখন আপনাদের ছোট ছেলে মেয়ে যদি ফোন দেখে তাহলে তারা সে মোবাইল ফোন টি নেওয়ার জন্য তারা অনেক চেষ্টা করে থাকে। আর যদি তাদের সেই ফোন টি যদি তাকে না দেন তাহলে সে কান্না করা শুরু করে।

আবার দেখা যায় যে আপনি যে কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন ঠিক সেই সময় আপনার পাশে বসে থাকা শিশু টি আপনাকে অনেক বিরক্ত করছে।আর তার কারণে আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ টি সঠিক ভাবে করতে পারতেছেন না।আর আপনি আপনার কাজ টি করার জন্য আপনার মোবাইল ফোন ওই শিশুটির হাতে তুলে দিলেন এবং শিশু টিকে আপনি যে কোনো একটি গান বা মজার কার্টুন দিয়ে আপনি তার হাতে আপনারা মোবাইল ফোন টি দিলেন।এর পরে শিশুটি চুপচাপ হয়ে সে মজার মজার কার্টুন ও গান দেখতে থাকে।আর এভাবেই এখন কার শিশুরা মোবাইল ফোনের আসক্ত হওয়া পরে।তার জন্য সব অভিভাবকদের সব সময় সর্তক থাকতে হবে। যে তার শিশুটি কি করে না করে সে দিকে তাদের খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই।

তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো যে সব  অভিভাবকদের তার সন্তানকে সময় দিতে হবে।তার কারণ হলো যে অনেক সময় দেখা যায় যে সব অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সঠিক ভাবে সময় দিতে পারেনা কেনোনা তারা যে কোনো চাকরি বা নানা ধরনের কাজ নিয়োজিত থাকে।আর সেজন্য তারা তাদের সন্তানদের বেশি সময় দিতে পারেনা।কিন্তু তাদের সন্তান কি করছে সেটা ও তারা জানেনা কারণ হলো একটা সন্তান যখন সে একাই থাকে সে তার সময় টা ভালো ভাবে কাটার জন্য সে হয় মোবাইল ফোনে বা ট্যাবে গেম খেলে থাকে না হলে সে গান শুনে।আর এভাবেই এখন কার শিশুরা বেশি ভাগ মোবাইল ফোনের সাথে আসক্ত হয়ে পরছে।

মোবাইল ফোনের  আসক্তি কাটিয়ে ওঠার উপায়

বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে কম বেশি সবাই আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টাই আমরা আমাদের সাথে মোবাইল ফোন রাখি।  যার কারণে পরিবার-আত্মীয় স্বজন থেকে আমাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়।আর আমাদের একটি নতুন জগত তৈরি হয়ে যায়।যার আমাদের শরীর-মনকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় আর অনেক চেষ্টা করে ও আমরা মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে বের হতে পারি না।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনারা মোবাইল ফোনের আসক্তি কমানো সম্ভব।

১. মোবাইল ফোনের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করবেন,

তবে একান্ত প্রয়োজন না হলে আপনারা কেউ আপনাদের কাছে মোবাইল ফোনটি একেবারেই রাখার প্রয়োজন নেই।আর যদি ভাবেন যে শুয়ে-বসে হাত বাড়ালেই মোবাইল ফোনটি পাবেন তাহলে ভুল তবে আসক্তি দূর করতে চাইলে এমন নৈকট্য পরিহার করতে হবে।

২.  না বলার উপর জোর দিন,

সর্বপ্রথম নিজের মনকে আগে স্থির করতে হবে।আর মনে মনে বলতে হবে যে আমি আমার মোবাইল ফোনটি প্রতিদিন এক থেকে দুই  ঘন্টার বেশি ব্যবহার করবো না এবং কোন ভাবেই এই চিন্তার বাইরে যাওয়া যাবে না।

৩. মোবাইল ফোন রেখে বই ধরুন,

প্রিয় ফোনটি দূরে রেখে এবার প্রিয় বইটি কাছে এনে রাখুন।হাত বাড়ালেই হয়তো ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু বইটি তো রয়েছে! এভাবেই অভ্যাস ভাঙার চেয়ে বেশি কাজে লাগবে নতুন অভ্যাস গড়ে তোলা। হতেই পারে বই আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু এমন অনেক জিনিস আছে আপনার পছন্দের, মোবাইল ফোনটি দূরে সরিয়ে এবার তাদের সঙ্গে সময় কাটান।

৪. লুডিক লুপ থামিয়ে দিন,

লুডিক লুপ কী? একই কাজ বারবার করতে থাকার ধারণাকেই গবেষকেরা নাম দিয়েছেন ‘লুডিক লুপ’। কখনো কি এমন হয়েছে যে আপনি ভেবেছেন চটজলদি ফোনটা একনজরে দেখেই রেখে দেবেন? এবং তারপর ঘন্টার পর ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এমনটা করা থেকে বিরত থাকুন।

আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন,সবাই ভালো থাকবেন।