মানুষ সমাজবদ্ধ জীব,আর সমাজে চলাচল করার জন্য মানুষ মানুষের যোগাযোগের জন্য প্রয়োজন আছে।তবে আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে বুঝায় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝায়। এর অর্থ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগের ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি এবং আদান-প্রদান করে তাই আই সিটির সামাজিক যোগাযোগ। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের সুযোগে আর বর্তমানে যোগাযোগ হয়ে পরেছে সহজ ও সাশ্রয় আর অনেক নিরাপদ, এবং ইন্টারনেট ব্যবহার ই-মেইলে, ব্লগিং, মেসেজিং, মোবাইল ফোন, ইত্যাদি এবং সামাজিক যোগাযোগ এগুলো ব্যবহার করে অতি সহজে আই সি টির সামাজিক যোগাযোগ অনেক টাই সহজ।

 

ইন্টারনেটে ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা রকম প্ল্যাটফর্ম,যা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। যেমনঃ- সব চেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম হলো :  ফেসবুক ও টুইটার ।

 

 

১, ফেসবুক (www.facebook.com)

ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ একটি অন্যতম একটি ওয়েবসাইটে। যা ২০০৪ সালে ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি মাসে মার্ক জাকারবার্গ তার কিছু বন্ধু নিয়ে এটি চালু করেন।আর এটাতে যে কেউ বিনামূল্যে এটার সদস্য হতে পারে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই অতি সহজে এবং এটি একটি ওয়েবসাইট যেটার মাধ্যমে খুবই সহজে যোগাযোগ করা যায়। কারণ বর্তমান বিশ্বের সকল মানুষ ফেসবুক চালায়। আর ফেসবুক ব্যবহারকারিরা তারা তাদের বন্ধু দের সংযোগ করে এবং তাদের বার্তা প্রেরণ করে এবং  তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে আবার তাদের ব্যক্তিগত তথ্য আদান প্রদান করতে পারে অতি সহজে। তাছাড়া ও এতে অডিও ভিডিও প্রকাশ করা যায়। আবার ফেসবুকে যে কোনো প্রতিঠান তাদের  নিজস্ব পেজ খুলতে পারে, এবং অনেক বন্ধুরা মিলে তারা এটি গ্রুপ তৈরি করতে পারে এতে আরো সহজে যোগাযোগ করা যায়। তাই ফেসবুক একটি সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যমে।

 

২.টুইটার (www.twitter.com)

টুইটার একটি সামাজিক যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম। এটি ১৪০ অক্ষরের এই বার্তাকে টুইটার বলা হয়। তবে টুইটারের সদস্যদের টুইট বার্তা গুলো তাদের প্রোফাইলের পাতায় দেখা যায়। আর এটা ফেসবুকের সঙ্গে বিষেশ একটা পার্থক্য রয়েছে। আর এটি ব্যবহার কারিদের সর্বোচ্চ ১৪০ Character. এর মাধ্যমে তারা তাদের তথ্য আদান-প্রদান করে অতি সহজে আর এ জন্য এটাকে মাইক্লোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইট।

আবার টুইটার সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইর পড়ার জন্য সেই সদস্য গুলো কে তারা অনুসরণ কর বা (follow) করতে পারেন। আর সে জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অতি সহজে মানুষ মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আইসিটি ও বিনোদন

বিনোদনের জন্ম হয়েছে যেটি আগে উপভোগ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে একটি হচ্ছে গেম। সারা পৃথিবী বিশাল শিল্পের তৈরি হয়েছে নানান রকম গেম। আর এটি বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। দেখা যাক বিনোদন গ্রহনের প্রক্রিয়া পরিবর্তন কিভাবে ঘটেছে। দেখা যেতো একটা  সময় বিনোদনের জন্য  মানুষ মানুষের ঘরের বাইরে যেতে হতো।কারন ছবি দেখার জন্য মানুষকে বাইরে যেতে হতো আবার খেলা দেখার জন্য মানুষ কে বাইরে যেতে হতো যে কোন বিনোদন মূল্যক অনুষ্ঠান দেখার জন্য মানুষ কে বাইরে যেতে হতো গান শুনার জন্য মানুষ  কে বাইরে যেতে হতো। আর এখন এধরনের বিনোদন মূল্য অনুষ্ঠানের জন্য মানুষ কে ঘরের বাইরে যেতে  হয় না।  এখন তারা তাদের ঘরে বসেই সব কিছু দেখতে পারে অতি সহজে। আর তারা যে গুলোর মাধ্যমে গান বা ছবি দেখতো সেগুলো হলো প্রথমে আসে রেডিও তার পরে আসে টেলিভিশন আর এর পারে এসেছে কম্পিউটার। আবার এক সময় কম্পিউটার সংযুক্ত হয়েছে ইন্টারনেটর সাথে। আমরা আবিষ্কার করেছি একটা মানুষ যা চার দেওয়ালের মাঝে আবদ্ধ থেকে পৃথিবীর  প্রায় সকল প্রকার বিনোদন মূল্য অনুষ্ঠানে উপভোগ করতে পারেন। আর প্রথমের আবিষ্কার করা হয় কম্পিউটার শুধু মাএ হিসাব করার জন্য  তার পর আসতে আসতে সব ধরনের কাজ করতে পারেন এই কম্পিউটারের মাধ্যমে  অতি সহজ উপায়ে। আর এ জন্য মানুষ কে ঘরে বাইরে যেতে হয় না তারা তাদের ঘরে বসেই সব কিছু দেখতে পারে অতি সহজেই। এর কারণ প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে কম্পিউটার মানুষ তার নিজের ব্যক্তি গত ভাবেই কাজের জন্য ব্যবহার করতে শুরু করেন।আর কম্পিউটার যখন ধীরে ধীরে শক্তি শালী হয়েছে যখন শুধুমাত্র হিসাব নিকাশের কাজের জন্য ব্যবহারিত না হয়ে আসতে আসতে এটা বিনোদের জন্য ব্যবহার করা শুরু করে।

 

পরিশেষে বলা যায় যে তথ্য প্রযুক্তির কারণে নতুন নতুন বিনোদনের জন্ম নিচ্ছে না আর সেই বিনোদন গুলো অতি সহজেই সেটা মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সবচেয়ে বড় কথা হলোএটি শুধু ভবিষ্যৎ আই সিটির উপর নিভর ও বিনোদন কোন পর্যায়ে  সেটা কল্পনা করা একেবারেই অসম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published.