প্রতিনিয়ত ফেসবুক ব্যবহার কারীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। আর সেই সংঙ্গে বেড়েই চলছে ফেসবুক আসক্তির সংখ্যা। ফেসবুক আসক্তির কারনে নানা ধরনের ক্ষতির প্রভাব পরছে ব্যক্তিও সামাজিক জীবনে আর সেই কারনে অসংখ্য বিশৃঙ্খলা ও হতাশার কারণ হলো এই ফেসবুক।

সুতরাং আজকের মূল বিষয় হলো ফেসবুক আর যে সব বিষয় ফেসবুক শেয়ার করা যাবে না তা নিয়ে একটি নিউজ ফিট এর গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ফেসবুক। সাধারণত দেখা যায় যে শতকরা ৮০ শতাংশ লোকজন দেখা যায় যে তাদের দিনের অধিকাংশ সময় তারা নিউজ ফিডে নষ্ট করে। আর এর মধ্যে অনেকে আছে যারা নিউজ ফিডে নিজের অনেক কিছু শেয়ার করে। আজকের এই লেখায় মূলত এরকম ৫ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে যে ৫টি বিয়ষ ফেসবুকে শেয়ার করা ক্ষতিকর।

১.যে কোনো খাবারের ছবি শেয়ার

১.
যে
কোনো
খাবারের
ছবি
শেয়ার

আমরা কম বেশি সবাই খাবারের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে থাকি।কিন্তু সেটা রেস্টুরেন্টে গেলে বা ভালো কোনো হোটেল ভালো খাবার খেলে আমরা সেটা সাথে সাথে ছবি তুলে সেটা শেয়ার কেরে থাকি।এ বিষয় টি আপনাদের কাছে ভালো মনে হলোও কিন্তু এই ধরনের কাজ করা ঠিক নয়।

replica watch report reviewsread what he saidfind out this here

এতে বুঝা যায় যে আপনি এ ধরনের খাবার আগে কখনো হয়তো খাননি। আর আজ হয়তো প্রথমবারের মতো খাবার টি খেলেন আর সেটা সাথে সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে শেয়ার করে দিলেন। আমি ভাল রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি। আপনি নিজেকে জাহির করতে চাচ্ছেন! এটা এক ধরণের অহংকার আপনার মনের মধ্যে সৃষ্টি করে।

আর ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকারের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন আপনি যখন তরকারী রান্না করবেন তখন তরকারীতে ঝোল যেন বৃদ্ধি করে দেন যাতে করে প্রতিবেশীকে তার কিছু অংশ দেয়া যায়।আর আমরা কি করছি! কাউকে তো খাবারে শরীক করছি না উল্টো খাবারের ছবি শেয়ার করছি!

২. যে কোন নিউজ বা তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়া শেয়ার

২.
যে
কোন
নিউজ
বা
তথ্য
যাচাই
বাছাই
ছাড়া
শেয়ার

ফেসবুক এক প্রকার গুজবের কারখানা বলা চলে কারন ফেসবুকে প্রতিদিন নানা ধরনের খবর প্রচার করে বা শেয়ার করে এবং খবর টি শেয়ার করার আগে ভালো ভাবে বিষয় টি জানতে হবে এবং তার পরে সেটা শেয়ার করবেন।আর যদি খবর টি মিথ্যা হয় তাহলো কোনো ভাবেই প্রচার করবেন না যদি মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন তাহলে গুনাহগার হয়ে যাবেন।আর সেটা হোক না কেনো সাধারণ বিষয় বা ইসলামিক। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনেও বলেছেন সঠিক কথা বলতে।

রাসূল (সা.) আরো বলেছেন যে কোনো খবর বা তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়া যদি সে খবর টি শেয়ার করে তাহলে সে মিথ্যা বাদী হওয়ার শামিল। যাচাই করা ছাড়া কোন তথ্য বা খবর বর্ণনা করা মিথ্যাবাদী হওয়ার শামিল।

আর সে জন্য ফেসবুকে কোনো তথ্য পেলে সবার আগে সেটা যাচাই বাছাই কর পর সেটা শেয়ার করবেন। আপনার একটি মিথ্যা খবর শেয়ার করায় নানারকম সমস্যা হতে পারে। তাই তথ্য টি শেয়ার করার আগে ভালো করে যাচাই করবে।

৩. অন্যের সমালোচনা

৩.
অন্যের
সমালোচনা

রাসূল সা: বলেন যে ব্যক্তি দুনিয়া তে একে অপরের দোষ গোপন করবে এবং তাদের দোষ ও মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে সেই ব্যক্তির দোষ ও তিনি গোপন রাখবেন।কিন্তু অধিকাংশ লোকজন দেখা যায় যে তাদের দোষ গুলো নিয়ে সমালোচনা করেন এবং তাদের সময় গুলো তারা নষ্ট করে।আবার তারা অন্যের সমালোচনা শেয়ার করা টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

এতে দেখা যায় যে ব্যক্তি অন্যের সমালোচনা করেন সে যেমন গুনাহ হচ্ছে তেমনি তার সাথে শত্রুতাও সৃষ্টি হচ্ছে।তাই আমাদের সকলকে স্মরন রাখা উচিত যে ইসলামের সমালোচনা নয় বরং সংশোধন করা এবং সকল কে দ্বিনের দাওয়াত দাওটা হলো ইসলামের কাজ যারা ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের কে পছন্দ করে।

তাছাড়া একে অন্যের গীবত করা অধিকাংশ মানুষের ও তার বিষয়ের উপর নির্ভর করে । আর গীবত কারিকে মহান আল্লাহ তায়ালা কিছু তেই পছন্দ করেন না। যারা একে অন্যের গীবত করেন তারা তাদের মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সমান।রাসুল (সাঃ)বলেন যে তোমরা যে কোনো কথা অনুমান করে বলা যাবেনা। তোমার সবাই অনুমান ও ধারনা কথা থেকে বিরতো থাকো। অনুমান বা ধারনা করে কথা বলা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা বলার সমান।

৪. সেলফি

৪.
সেলফি

সেলফি শব্দটি বর্তমানে বেশ প্রচলিত। কেনোনা বর্তমানে সময়ে সবাই যা কিছু করে না কেন ও তা ফেসবুকে শেয়ার করে দেয়। যেমন কোনো দামী কাপড়চোপড়ের বা দামী গাড়ি ওদামী মোবাইল ইত্যাদি কিনলেই তা সাথে সাথে পোস্ট করে দেয় সবাই আর এটা বতমান সময়ে মানুষের অভ্যাস।কিন্তু তারা এক বারেও জন্য চিন্তা করে না যে এটা তাদের অহংকার। আর অহংকার হলো কাফের চরিত্র। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন। যারা অহংকার করে তারা কাফেরের বিরোধিতায় লিপ্ত।

অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ্ ( সাঃ)বলেছেন, যার মাঝে বিন্দু পরিমান ঈমান থাকবে না সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করতে পারবে না। যে ব্যক্তির সামান্য পরিমান যদি অহংকার করে থাকে সে ব্যক্তি ও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। সহীহ মুসলিম: (১৬৮)

দয়া করে আপনারা কেউ কাউকে কষ্ট দিবেন না কারন আপনারা যখন ফেসবুকে একটা দামী গাড়ির ছবি যখন ফেসবুকে পোস্ট করেন তখন সেই ছবিটি অন্য জন দেখে ভাবে যে তার কাছে দামী গাড়ি আমার কাছে নাই। আর সেটা ভেবে তারা হতাশা হয়

৫. হতাশ দুর্বলতা প্রকাশ

৫.
হতাশ

দুর্বলতা
প্রকাশ

শেয়ার করা যেমন ক্ষতিকর।আর তেমনি নিজের কিছু দুর্বলতা এবং হতাশের কথা ফেসবুকে শেয়ার করা ও তেমনি ক্ষতিকর।বেশি করে ফেসবুক ব্যবহারের কারনেই মানুষ এমনিতেই হতাশা হয়ে পরে। আর তারার বিষণ্ণতার মধ্যে থাকে। তার মধ্যে নিজের ব্যথতা ও হতাশার পরিমান বৃদ্ধি করা ছাড়া কোনো লাভ নাই।আর আপনারা ফেসবুকে ব্যর্থ হওয়ার কথা গুলো শেয়ার না করে ধৈর্য্য রাখুন।মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারন করবে সে ব্যক্তি এক দিন না দিন সে তার ফল পাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন নিয়মিত তওবা করুন। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেন,

মহান আল্লাহ তায়ালা নিজেই বান্দাদের তওবা করার জন্য বলেন।

 

বর্তমান সময়ে ফেসবুকে দেখা যায় যে অনেক নারীদের ছবি পোষ্ট করা সহ নানা ধরণের ইসলাম বিরোধী কাজ করে থাকেন। আর এর দ্বারা প্রতিনিয়ত তারা তাদের গুনাহগারের খাতায় তাদের নাম লেখানো ছাড়া আর কোনো লাভ নাই।ফলে এ সব বিষয় সকল মিডিয়ার জন্য প্রযোজ্য।