আমরা প্রতিনিয়ত সবাই মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানি এবং ব্যবহার করি।বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন নিঃসন্দেহে একটি নিত্যসঙ্গী এবং গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস।তবে মোবাইল ফোনে অতি আসক্তি হওয়া এক ধরনের রোগ বলা চলে।যারা মোবাইল ফোন হাতে না থাকলে বা ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলেই অস্থির হয়ে যাচ্ছেন, বিজ্ঞানীরা বলছেন তারা ‘নোমোফোবিয়া’-নামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।জেনে নিতে পারেন মোবাইল ফোনে আসক্ত কিছু লক্ষণ।পাঁচ বা দশ মিনিট ফোন থেকে দূরে থাকতে অনেক অসহ্য লাগছে! ফোনটা আপনার নিজের যেন একটা অংশ হয়ে গেছে।ফোনটা যেন সবসময় আপনার কাছাকাছি থাকতে পারে ঠিক সেই চেষ্টায় করছেন।হাতের পাশে, পকেটে কিংবা হাতের কাছের ব্যাগে না থাকলে অনেকটা ছটফট করতে থাকেন অথবা দূরে কোথাও চার্জে লাগা থাকলে উদ্ভট লাগে।
বাসা থেকে বের হয়ে বাসার বাইরে গিয়ে ফোন নেই মনে পরলে চমকে উঠছেন।যতই দেরি হোক না কেন,ফোনটা নেওয়ার জন্য ছুটে চলে যাচ্ছেন।স্কুল-কলেজ অথবা কাজে যাওয়ার আগেই কোনোকিছু নেওয়ার আগেই ফোনটাকে হাতের মুঠোয় নিতে চেষ্টা করছেন বা বেরিয়ে এসেছেন আবার তারাহুরো আনতে বাসায় । চেঁচিয়ে অস্থির হয়ে পরছেন ফোন খুঁজে না পেলে আঁতঙ্কিত হয়ে উঠছেন। ‘হায় খোদা, আমার ফোনটা কোথায় গেলো?’ -এই বলে চেঁচিয়ে উঠছেন পরে বুঝতে পারছেন।ফোনটা আসলেই হাতে ধরা!শপিং কিংবা লাঞ্চে অথবা বাজার করতে গিয়ে – ফোনটাকে ব্যাগে বা পকেটে রাখতে পারছেন না।
ফোনটাকে যেন আপনার হাতেই সবসময় যেন থাকতে হবে।হাতে কোনো কিছু জিনিস আছে কিন্ত আপনি ফোন হাতে নেওয়ার জন্য খুবই উদ্বিগ্ন, এ জন্য পাশে যদি কেউ থাকে তাদেরকে বার বার বলতে পিছপা হচ্ছেন না, ‘এই জিনিসটা একটু নাও বা নিন!’ ফোন হাতে নিয়েই প্রতি রাতে ঘুমাতে যান।যেকোথাও হোক না কেন বালিশের নিচে হোক কিংবা পাশের টেবিলে, ফোন আপনার কাছে সবসময় থাকা চাই।ফোনে কোনো ম্যাসেজ এলো কিনা-ধরপর উঠে দেখছেন একটু পর পর।হয়তোবা আপনি ফোন হাতেই ঘুমিয়ে পড়ছেন।আপনার চোখের সামনে ফোনের ডিসপ্লে যেন থাকবেই।ফোনে টেক্সট বা লেখালেখি করতে করতে বা ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতেই অন্যমনস্ক হয়েছেন এবং ব্যথাও পেয়েছেন কয়েকবার।
চলাফেরার সময় অন্যদের সঙ্গে হঠাৎ করে ধাক্কা লাগছে,বিভিন্ন জিনিসপত্রের সঙ্গে ঠোক্কর খাচ্ছেন। কিন্তু আপনার কোনো খেয়ালই আসছে না; কারণ আপনি ফোনের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত ব্যস্ত হয়ে পরেছেন।আপনি সবসময় আপনার চোখের সামনে ফোনের ডিসপ্লেটা ধরে রাখতে চাচ্ছেন।আপনার ফোনটা যদি কেউ ধরলে বা ব্যবহার করতে নিলে আপনি প্রচণ্ড বিরক্তি বোধ করছেন!অতএব উপরে যেসব কথাগুলো বলা হলো তা হলো নোমোফোবিয়ার লক্ষণ৷ সুতরাং নিজেকে সচেতন করুণ এবং অন্যকে করার চেষ্টা করান।উপরের লক্ষ্মণ গুলো বর্জন করুন এবং নিজের অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন।