বর্তমান কম বেশি সবাই আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি।আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করা মনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই Mb এর প্রয়োজন আর Mb না থাকলে জেনে আমাদের মোবাইল ফোন একেবারেই অচল মনে হয়।তবে কোনো কাজ করতে গেলে Mb যদি শেষ হয়ে যায়। তখন আমরা কারো কাছে থেকে ওয়াইফাই নিয়ে থাকি।ওয়াইফাই নিয়ে আমরা আমাদের কাজ শেষ করি।কিন্তু আমরা কম বেশি সবাই ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে যাই আর ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা নানা রকমের সমস্যা পরতে পারি সেটা কি জানেন এটা হয় তো আমরা অনেকেই জানি না।
কিভাবে আপনি ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় নিরাপদ থাকবেন;
বর্তমান পথে ঘাটে, ও রেস্টুরেন্টে এবং বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে এখন ফ্রি ওয়াইফাই পাওয়া যায়।তার কারণ হলো যে বর্তমান সময়ে যে ডাটার দাম আর এতে যদি একটু খানি কচ্ছপ গতিতে ও ফ্রি ওয়াইফাই অনেকের জন্য অমৃত সমতুল্য। তবে এই অমৃতের মাঝে ও যে গরল থাকতে পারে,সেটা কিনকখনো আপনারা ভেবে দেখেছেন কি? হ্যাঁ, ফ্রি ওয়াইফাই আপনার সব রকম গোপন তথ্য খুব সহজেই চুরি করে নিতে পারে, এমন কি আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট ও হ্যাক করতে পারেন।তবে কি আমরা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবো না? ফ্রি ওয়াইফাই অবশ্যই করবো, তবে নিচের নিরাপত্তা টিপস গুলি মেনে তবেই আপনারা ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন।
আর চলবে না Google, Gmail, YouTube, সমাধান কী জেনে নিন
ইমো প্রোফাইল পিকচার কিভাবে অ্যাড এবং ডিলিট করবেন
সিম কার্ড লক না করলে যে সমস্ত বিপদে পড়তে পারেন
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিরাপত্তা কৌশল;
১.অনলাইন ব্যাংকিং থেকে বিরত থাকুন,
রেস্টুরেন্ট কিংবা বাস ষ্টেশনের মধ্যে ফ্রি ওয়াইফাই আর যেনো মরু ভূমির বুকে এক বোতল ঠাণ্ডা পানি, তাই না?তবে কিন্তু একটু ধীরে ধীরে আগাতে হবে। আর ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সময় কিন্তু আপনি অনেক ফাঁদও পরতে পারেন।আর ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কানেকশন দিয়ে আপনি কখনোই অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের নাম্বার ব্যবহার করবেন না কেনোনা অনলাইন ট্র্যানজেকশন করবেন না। তার কারণ,ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যদি কানেকশন থাকে তাহলে দুর্বৃত্তকারী থাকে,তাহলে তারা আপনার ব্যাংকের কার্ডের সমস্ত তথ্য নিয়ে আপনার ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা বের করে নিতে পারে।
২. ভিপিএন ব্যবহার করবেন,
কেনোনা ভিপিএন হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে আপনি আলাদা আলাদা আইপি এড্রেসের এর মাধ্যমে আপনি চাইলে যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন। তার ফলে আপনার ফ্রি ওয়াইফাইয়ের পাবলিক আইপি এড্রেসের কোনো প্রয়োজন নেই।তার কারণ হলো এটা আপনার ব্যক্তি গত তথ্যকে নিরাপদে রাখবে।
৩. নেটওয়ার্ক সেইভ করবেন না,
অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই তার মোবাইল ফোন ডিভাইসের এবং কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ওয়াইফাই এর নেটওয়ার্কের নাম সেপ করে রাখে আর পরবর্তীতে সময়ে স্বয়ংক্রিয় ভাবে সেগুলোর সাথে আবার যুক্ত হয়। ভুলেও আপনারা এই কাজটি কখনোই করবেন না। কারণ, দুষ্কৃতি কারীরা অনেক সময় আপনার ফ্রি ওয়াইফাই এবং হটস্পটের নাম হুবুহু নকল করেতে পারে। আপনার ডিভাইসের সাথে অটো-কানেক্টেড ও হতে পারে, নিজস্ব এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে সে আপনার প্রাইভেসির বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে।
৪. নেটওয়ার্কের নাম খেয়াল করবেন,
তবে অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক বেশি জনপ্রিয় কোন ফ্রি ওয়াইফাই এবং হটস্পটের আশে পাশে দুর্বৃত্তরা তাদের কাছাকাছি কিছু নামে ফ্রি ওয়াইফাই এবং হটস্পট খুলে ফাঁদ পেতে থাকে। তাই এই ফাঁদ থেকে আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে আপনি ওই ফ্রি ওয়াইফাই এর নাম সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।তার পরে সে নামের ওয়াইফাই কানেক্ট হবেন।
৫. অথেনটিকেশন,
তবে কিছু কিছু ফ্রি ওয়াইফাই ও হটস্পটে কানেক্ট হতে গেলে আমাদের কে আমাদের মোবাইল নাম্বার দিতে হয়।তার পরে এসএমএসের মাধ্যমে একটা পাসওয়ার্ড /কোড আসে আর সেটা দিয়ে আমরা কানেক্ট করে থাকি। আর এই করে কানেক্ট হলে আপনার নেটওয়ার্ক টি নিরাপদ। তার কারণ হলো হ্যাকারা এতে কিছু নিয়ে বসে থাকেনা।তারা এমন একটা নেটওয়ার্ক দিবে যেটা দিয়ে অটো কানেক্ট হয়ে যাবে।আর তাই তাদের এতো কিছু প্রয়োজন হয় না।
৬. এন্টি ভাইরাস অ্যাপস,
ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল নিরাপত্তা জন্য মানুষ নিত্য নতুন পন্থা বের করছে। তবে এ গুলোর মোকাবেলা করার জন্য আছে অনেক উপায়।তার কারণ হলো আপনি যদি একটি এন্টি ভাইরাস অ্যাপস ব্যবহার করেন,তাহলে অনিরাপদ নেটওয়ার্কে সেটি পরবর্তী সময়ে আপনার জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করতে পারে।
৭. অপ্রয়োজনে ওয়াইফাই চালু না রাখা,
যদি ইন্টারনেট কাজ শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ওয়াইফাই কানেকশন বন্ধ করে রাখবেন।এতে করে আপনার মোবাইল ফোনের চার্জ বাঁচবে।তাছাড়া প্রতারণামূলক অটো-কানেক্ট নেটওয়ার্কের হাত থেকেও আপনি রেহাই পাবেন।
আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।
খোদা হাফেজ।