আমরা অনেক সময় দেখতে পাই হঠাৎ করে ইন্টারনেট ও ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যায়।

আবার ইন্টারনেটে যখন কোনো কিছু download করি তখন দেখা যায় হঠাৎ করে স্লো হয়ে গেলে কি যে সমস্যা মনে হয় তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। আর ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ও লকডাউনের আমাদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার হয়ে গেছে লাইফ লাইন।তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিনা টিপস শেয়ার করলাম যেগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ইন্টারনেটর গতি বেরে যাবে কয়েক গুণ।

 

১.পরিসেবা নির্বাচন

ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়ার আগে পরিসেবা ও সরবরাহকারী এবং বিভিন্ন প্ল্যান সম্পর্কে আপনাকে খোঁজ খবর নিতে হবে।আর প্রতিবেশীদের থেকে আপনি জেনে নিন যে আপনি যে অঞ্চলে থাকেন সেখানে কোন সংস্থা সবচেয়ে ভালো পরিসেবা দেয়। এমন একটি সংস্থা আপনি বেছে নেন যা অন্তত ১০ এমবিপিএস এবং প্রতি সেকেন্ডে যেনো ১০ এমবিপিএস এর বেশি গতির ও স্পিড যেনো দেয়।
আপনি প্রতিদিন অনলাইনের কাজ করার জন্য আপনাকে দীর্ঘ সময় অনলাইনের থাকতে হয।তাই আপনাকে কাজ করার জন্য ৭৫০ টাকার উপরে যে কোনো একটি পরিসেবার প্ল্যান বেঁচে নিতে হবে।। আর আপনার বাড়িতে যদি বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয় সেক্ষেএে আপনাকে বেশি ডাটা বা ব্যয়বহু একটি ডাটা প্ল্যান ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার ইন্টারনেটর স্পিড বেশি হবে।

 

২.রাউটার ও ট্রাবলশুট

অনেক সময় দেখা যায় যে রাউটারের স্পিড হাঠাৎ করে কমে যায়। আর সেই সময় আপনারা ট্রাবলশুটিং উইজার্ড চালিয়ে দেখতে পারেন যে আপনার রাউটারের কানেকশনের কি সমস্যা রয়েছে কি না।আবার সেই সমস্যা গুলো সমাধান করলেই আবার নতুন করে রাউটারের সেটিং চালু করলেই আবার আপনার রাউটার আগের মতো কাজ করবে।তাছাড়া আপনি প্রতিদিন আপনার নিজে রাউটার অন্তত দশ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখবেন তাহলে আপনার রাউটার ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।

 

৩.ডিভাইস ও কানেকশন

যদি আপনার অবস্থানের সীমার মধ্যে বেশ কয়েকটি নেটওয়ার্ক থাকে তবে সঠিক নেটওয়ার্কটি নিশ্চিত করে, ডিভাইসগুলো সংযুক্ত করুন।একটি সার্বজনীন ওয়াইফাই সাধারণত ধীর গতির হয়, যদি আপনার ডিভাইস এই ধরণের ওপেন নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় তবে কানেকশন স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতির হবে।

৪.রাউটার এর অবস্থান

যদি আপনি কোনো ইলেকট্রনিক জিনিসের সামনা সামনি আপনার রাউটারটি রেখে দেন তাহলে আপনার ইন্টারনেটের স্পিড কম হতে পারে।তার কারণ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ গুলো আপনার রাউটারের ইন্টারনেটের স্পিড কমিয়ে দেয়।আর যদি সেরকম থাকে তাহলে আপনি নিজের রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করবেন।

৫. অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করুন

নেটফ্লিক্স বা ইউটিউবের মতো স্ট্রিমিং অ্যাপ গুলো প্রচুর পরিমাণে ব্যান্ডউইথ গ্রহণ করে।আর আপনি অন্য কোন কাজ করলে এবং সেই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য কোনো কাজ করবেন না আর সমস্ত স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম বন্ধ রাখবেন তাহলে আপনার ইন্টারনেট গতি বেরে যাবে ।

৬.সিকিউরিটি ব্যবহার করবেন

যদি আপনি স্লো ব্রড ব্যান্ড স্পিড পেয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আপনার রাউটারের সঙ্গে অন্য কোন ব্যক্তি কানেক্টেড আছে। তাই আপনি নিজের রাউটারক ভালো করে পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত করবেন। এর ফলে আপনার ইন্টারনেটের ও নেটওয়ার্কের স্পিড স্বাভাবিক থাকবে।
৭.তার গুলো পরীক্ষা করবেন
রাউটার বা মডেম এর সংযোগকারী তার গুলো ভালো না হলে বা আলগা হয়ে গেলে ইন্টারনেটের স্পিড সে ক্ষেএে স্লো হয়ে যেতে পারে। আর তা ছাড়া নিম্ন মানের কোক্সিয়াল স্প্লিট্টার এবং স্পিডের উপর প্রভাব ফেলে।তাই আগে নিশ্চিত করবেন সমস্ত তার গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা তারপর সঠিক ভাবে সংযুক্ত রয়েছে কিনা।

৮.ল্যান ক্যাবলের ব্যবহার

যদি আপনি আরো বেশি ইন্টারনেট স্পিড পেতে চান তাহলে ল্যান ক্যাবল ব্যবহার করুন। আর এই ক্যাবলের মধ্যেও যদি আপনি অত্যন্ত পুরনো ল্যান ক্যাবল ব্যবহার করেন তাহলে ইন্টারনেট স্পিড কম হতে পারে। ভালো হবে যদি আপনি ক্যাট-৬ এ জাতীয় ক্যাবল ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ইন্টারনেটের গতি বেরে যাবে অনেক বেশি হয়ে যাবে।

 

৯.ওয়াই-ফাই এবং রিপিটার যুক্ত করবেন

আপনার ডিভাইস যদি রাউটার থেকে অনেকটা দূরে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে একটি ওয়াই-ফাই এক্সটেন্ডার,একটি বুস্টারের বা রিপিটারের সাহায্যে আপনি অনেক ভালো স্পিড পেতে পারেন। বাড়িতে যদি বড় বড় ঘর থাকে তবে এটি একটি ভালো বিকল্প। এছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ওয়াই-ফাই রিপিটার হিসাবে কাজ করতে পারবেন চালাতে পারেন।

 

১০.গতি বাড়াতে কানেকশন একত্রিত করবেন

আপনার ডিভাইসের হোম ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের ডেটা বা একটি পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের মতো একাধিক কানেকশনের অ্যাক্সেস থাকতে পারে। হয় তো আপনি সেগুলো ব্যবহার করছেন না। সেক্ষেত্রে সেই কানেকশন গুলোর স্পিড নষ্ট করার পরিবর্তে, স্পিডি ফাইয়ের মতো একটি সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন যে সমস্ত কানেকশনকে একত্রিত করবে এবং আপনি আপনার হাই স্পিড কানেকশন উপভোগ করতে পারবেন।