বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে ব্যবসাকে গুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য Twitter হলো অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আর টুইটের এর গড় আয়ু মাত্র ১৮ মিনিট। যা বর্তমান ফেসবুক পোস্টের চেয়ে টুইটারের পোস্টের এর গড় আয়ু চারগুণ কম। তাই আপনাদের টুইট ও Twitter মার্কেটিংয়ের এর পদ্ধতি অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া দরকার । আর আজকে আমি আপনাদের কে টুইটার মার্কেটিংয়ের সেরা ১২ টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাদের অবশ্যই কাজে লাগবে ।

.সঠিকভাবে Twitter হ্যান্ডেল, প্রোফাইল ফোটো,এবং হেডার ফোটো নির্বাচন: আপনাদের এমন একটি Twitter হ্যান্ডেল বেছে নিতে হবে যেটাকে ক্রেতারা অতি সহজে মনে রাখতে পারেন, এবং সবার থেকে ভিন্ন করতে হবে । আর অবশ্যই সেটা ছোটো করতে হবে।আবার চেষ্টা করবেন যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার যেনো একরকম নাম থাকে।কারণ আপনার প্রোফাইলে আপনার পিকচারে পরিবর্তে আপনার কোম্পানির লোগো ব্যবহার করবেন। আর এতে আপনার কোম্পানিটি মানুষ বেশি করে চিনবে।

. আপনার ব্র্যান্ড পার্সোনালিটি দেখানোর জন্য বায়ো অপটিমাইজ করবেন: আপনার বায়োতে ছোটতো করে লিখবেন আপনি কে বা,কি করেন, এবং আপনার নিজের কোম্পানির নাম কি, আর আপনি কার সঙ্গে আপনার এই কোম্পানি শুরু করেছেন ইত্যাদি। আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডটি ঠিক কিসের তা পরিষ্কারভাবে লিখবেন। আর আপনার কতজন গ্রাহক আছে সেটা ওভালো করে উল্লেখ করতে পারেন। কারণ অন্য কোনো ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেগুলোকে ট্যাগ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হলো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন Twitter Marketing কে।

 : পিক আওয়ার টুইট করবেন [Twitter Marketing ] : আপনাকে প্রথমে দেখতে হবে কোন সপ্তাহের কোন দিন বা নির্দিষ্ট সময়ে সব চেয়ে বেশি টুইটারে ইউজাররা অ্যাকটিভ থাকেন।আর ঠিক সেই সময় কোনো কিছুর পোস্ট করলে তা অতিসহজেই বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোবে। অথাৎ তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায যে, বাকি দিনগুলোর চেয়ে শুক্রবার, শনিবার, ও রবিবার করে টুইট গুলোর সিটিআরএস অনেক বেশি থাকেন। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনো কিছুর পোস্ট করার সেরা সময় কারণ ঠিক তখন বেশি মানুষ টুইটারে অ্যাকটিভ থাকে। আবার কয়েক জনের মতে,শুক্রবার ,সোমবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কোনো কিছুর পোস্ট করলে তা বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

 . হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন [Twitter Marketing] : একটি সঠিক হ্যাশট্যাগ কোনো পোস্টের এনগেজমেন্টকে দ্বিগুণ করে দেয়।আবার যদি দু’টোর বেশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন তাহলে এনগেজমেন্ট ১৭ শতাংশ কমে যায়।আর তাই আপনার পোস্টের জন্য আপনি প্রয়োজনীয় হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবেন। প্রয়োজনে টুইটার অ্যানালিটিকের মাধ্যমে সেরা হ্যাশট্যাগগুলো দেখে নিতে পারেন। অথবা হ্যাশট্যাগিফাই টুলও ব্যবহার করতে পারেন।

. অ্যাজভানসড সার্চেস [Twitter,Marketing] : আপনি যদি কোনো কিছু পোস্ট করার আগে যদি আপনি জানেন যে আপনার কোন ব্র্যান্ড বা জিনিসের প্রতি কোন কোর মানুষ বেশি আগ্রহী তাহলে আপনি আপনার Twitter Marketing এর কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। যেমন – ধরুন আপনার একজন বেকারি।আর আপনি টুইটার অ্যাডভানসড সার্চের মাধ্যমে আপনি আপনার বেকারির সব ধরনে পণ্যের নাম লিখে সার্চ করুন। যেমন কেক লিখে সার্চ আর এর ফলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার এলাকায় কারা কেকের খোঁজ করতে বা বেকারির অন্যান্য কোন জিনিসের প্রতি মানুষ বেশি আগ্রহী সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য আপনার কাছে সহজেই চলে আসবে।

. আপনার রিটুইট বাড়ানোর জন্য টুইট ছবি ব্যবহার করবেন– টইটারে যদি ছবি পোস্টে করেন তাহলে দেখাযায় যে ৮৯ শতাংশ বেশি লাইক ও শেয়ার হয়।আর সেই জন্য পোস্টের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ছবি পোস্ট করবেন।আবার বিভিন্ন ভাবে ডিসকাউন্ট বা স্পেশাল অফারের গ্রাফিক্স করে ও পোস্ট করতে পারবেন।

 . টুইটার ভিডিও ব্যবহার করুন– সাধারণভাবে যায় যে টেক্সটের থেকে যেমন পিকচার ভালো, আবার তেমনি ছবিকও ছাপিয়ে করা যায় ভিডিও। তবে অ্যাডউইকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি ভিডিও পোস্ট এর চেয়ে ছবির পোস্ট থেকে ছয়’গুণ বেশি রিটুইট হয় কারণ হলো একটি ছবির পোস্ট জিআইএফ পোস্টের থেকে তিন গুণ বেশি রিটুইট হয়।

৮.পোল তৈরি করে ফলোয়ারদের যুক্ত করবেন- আপনার ওয়েবসাইটের পেজে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পোল একটি অতি সহজ উপায়।কারন অ্যাড টু নিউ টুইটে ক্লিক করে পোল আইকনে ক্লিক করবেন। এরপর আপনার প্রয়োজনীর প্রশ্ন লিখবেন। ফলে আপনার ইউজার এনগেজমেন্ট অনেকটাই বাড়বে যাবে।তার পাশাপাশি মার্কেট রিসার্চ, ফিডব্যাক, কনজিউমার রিসার্চও হবে। অন্যান্য সফল ব্র্যান্ডগুলো কি রকম পোল করছে সেগুলো ও নজরে রাখতে পারেন।

. ক্রিয়েটিভ সিটিএ ব্যবহার করবেন Twitter Marketing অন্যতম লক্ষ হলো সেল বাড়ানো, এবং লিড তৈরি, আর ক্লিক বুস্ট করা,ও ডাউনলোড বাড়ানো।যেতে আপনি কিছু সিটিএ ব্যবহার করে ইউজার এনগেজমেন্টকে আরও বাড়াতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অনেক গুলোু শব্দ আপনার খুবই কাজে আসবে। যেমন-ভিজিট আওয়ার সাইট, ফলো আস, শপ আওয়ার সেলস,লার্ন মোর শপ নাও,ডাউনলোড হিয়ার। আর এই ‘ফ্রি’ শব্দ গুলি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

১০. Twitter A/B টেস্টিংয়ের মাধ্যমে আপনি শিরোনাম পরীক্ষা করবেন: Twitter এর শিরোনাম পরীক্ষা করার অন্যতম সেরা জায়গা হলো টুইরয়েডের মাধ্যমে দেখে নিন আর দিনের কখন সবচেয়ে বেশি পরিমান ইউজার অনলাইন থাকে ।ঠিক তখন ৪-৫ টি শিরোনাম ট্র্যাকেবল লিঙ্ক সহকারে পোস্ট করবেন। অপটিমাইজলির এর মাধ্যমে সেগুলোকে ট্র্যাক করবেন। আর কোনটি বেশি পছন্দ হচ্ছে মানুষের তার তথ্য সহজেই পেয়ে যাবেন।

১১. প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন. আপনি আপনার নিজের কোম্পানি প্রভাবশালীদের মাধ্যমে প্রোমোশন করতে পারেন। আর সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সারদের ফলোয়ারের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে আপনার ব্র্যান্ডটি অতিসহজেই বেশি মানুষের কাছে পৌঁছোবে। আর তার জন্য আপনাকে কিছু অর্থ ব্যয়ও করতে হবে।

১২. টুইটারে বিজ্ঞাপন: টুইটারে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন অতি সহজেই কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই।আর তবে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন থেকে টুইটারে বিজ্ঞাপন দেওয়া বেশি খরচ সাপেক্ষ কারণ এটা আপনার পোস্টের বা ইউজার বুস্টের ক্ষেত্রে এটা খুবই উপযোগী। শেষ কথা: আপনার ব্র্যান্ড সেচেতনতা বাড়ানো ও ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য টুইটার হলো অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। যা অন্যান্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর থেকে এখানকার পোস্ট খুবই তাড়াতাড়ি পুরোনো হয়ে যায়। তাই খুব সল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মনের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আপনাকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসতেই হবে আর সেটা হলো [Twitter Marketing]