যেভাবে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন আপনার সুরক্ষায় জন্য,

বাংলাদেশে রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে।শুরুতেই সম্মুখ সারির কর্মী এবং ৪০ বছরের বেশি নাগরিকদের টিকা দেয়া হবে।

এই বয়স সীমা আগে ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হলেও সেটি আবার কমিয়ে আনা হয়েছে।আর ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা যেকোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।

তবে টিকা নিতে হলে নাম নিবন্ধন করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এর আগে এ বিষয়ক একটি অ্যাপ চালু হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সেটি আর কাজ করছে না।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমআইএস ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যে অ্যাপটি এখনো  তাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি বলে কাজ শুরু হয়নি।আর এটি শিগগিরই চলে আসবে বললে জানান।

অ্যাপসটি না থাকলেও নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে এবং স্পট রেজিস্ট্রেশন চলছে বলে জানিয়েছেন ।

স্পট রেজিস্ট্রেশন,

করোনাভাইরাসের টিকা পেতে নিবন্ধন করা নিয়ে ঝামেলার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন অনেকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিবন্ধনের কাজ সহজ করতে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার মধ্যে একটি হচ্ছে স্পট রেজিস্ট্রেশন বা টিকা কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন।

এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক(এমআইএস) ডা.মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, নিবন্ধন নিয়ে যেহেতু কিছু সমস্যার কথা জানা যাচ্ছে তাই এই পদ্ধতিটিকে আরো সহজ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগে থেকে নিবন্ধন করা না থাকলেও এখন সরাসরি টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করে তারপর টিকা নেয়া যাবে।

এক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার জন্য সবাই তাদের শুধু ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে গেলেই চলবে।

টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত নির্ধারিত ব্যক্তি এই নিবন্ধনের কাজে টিকা গ্রহণকারীকে সহায়তা করবেন। এছাড়া চাইলে টিকা গ্রহণকারী নিজেও টিকা কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।

ইউনিয়ন পর্যায়ের টিকা কেন্দ্রগুলিতেও নিবন্ধনে সহায়তার জন্য আলাদা আইটি কর্মকর্তা থাকবে বলেও জানান ডা. মিজানুর  রহমান।

এই অ্যাপটির মাধ্যমে টিকার নিবন্ধন শুরু না হলেও সরকারি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে আগের নিয়মে নিবন্ধন করা যাবে বলেও জানান তিনি।

ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুরক্ষা.গভ.বিডি

https://www.surokkha.gov.bd/ নামের ওয়েবসাইটে টিকা নিতে আগ্রহীদের নাম নিবন্ধন করতে হবে।

নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশা, শারীরিক পরিস্থিতি, ফোন নাম্বার ইত্যাদি তথ্য।

সেখানে প্রথমে নিজের পেশা বা যে যে কাজ করে তার  ধরণ, পেশা বাছাই করার পরে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিতে হবে।

বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামাররা এই ডেটাবেজটি তৈরি করেছেন।

বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ”এটি একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন।দেশের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে এটি হোস্ট করা হয়েছে। ফলে যত মানুষ যখন নিবন্ধন করতে চাইবেন আর সেই অনুযায়ী তার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাবে বলে।তিনি জানিয়েছেন, এর সাথে মোবাইল ভার্সনটি প্রস্তুত করে রাখা হবে।যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়  চাইবে, তখনি তাদের দেওয়া হবে।

তবে ওয়েবসাইটে অ্যাপলিকেশনে নিবন্ধন করতে হলে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে।