সিনিয়র সংবাদদাতা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায় যে গত সোমবার ঢাকা তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা।করোন ভাইরাস মহামারীর কারণে পিছিয়ে পড়া উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ও সমমানের পরীক্ষা এই বছর অনুষ্ঠিত হবে না।

পরিবর্তে, একটি নতুন চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা চালু করা হবে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে, শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি বুধবার একটি সংবাদমাধ্যম ব্রিফিংয়ে তিনি জানান।তবে তিনি বলেন যে ২০২০ সালের সরাসরি এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না তাই আমরা একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর ইতিমধ্যে তারা দুটি পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সুতরাং এইচএসসির পরিক্ষার ফলাফল ও জেএসসি পরীক্ষার এবং এসএসসি পরীক্ষার স্কোর গড়ে গড়ে নির্ধারিত হবে, তিনি ব্যাখ্যা করলেন।

দীপু মনি জানিয়েছেন, কলেজটি ভর্তি প্রক্রিয়া জানুয়ারিতে শুরু করতে যাতে ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকার।৩০০,০০০ শিক্ষার্থীদের জন্য ভাগ্যবানএইচএসসি পরীক্ষা না রাখার সিদ্ধান্ত এই বছর যারা বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তাদের কানে সংগীত হিসাবে আসবে।দীপু মনির মতে নতুন মূল্যায়ন প্রকল্পটি গত বছরের পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের জন্য ও প্রযোজ্য হবে।এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যারা গতবার ব্যর্থ হয়েছিল তাদের জেএসসি এবং এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।

গত বছর ১.৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থী এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, যাদের মধ্যে ৯৮৮,১২২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।এর অর্থ হলো ৩৪৮,৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী যারা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল তাদের পরীক্ষার জন্য পুনরায় উপস্থিত না হয়ে তাদের এইচএসসি শংসাপত্র দেওয়া হবে।

একজন পরীক্ষার্থীকে পরের বছর কেবল মাত্র দুটি বিষয়ে সর্বোচ্চ চারটি কাগজপত্র পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় যদি তারা তাদের প্রথম প্রয়াসে ব্যর্থ হয়।  এইচএসসি পরীক্ষায় সাতটি বিষয়ে ১৩ টি করে প্রশ্নপত্র রয়েছে।