বর্তমান প্রযুক্তি দিন দিন  মানুষকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখছে। যেমন আমার কথাই বলি, আগে আমি মাঠে গিয়ে ক্রিকেট খেলতাম। আর এখন আমি ল্যাপটপে ক্রিকেট গেম খেলি।আগে আমি  অনেক ধরনের খেলা খেলতাম আর মজা পেতাম আর এখন ঘরে বসেই নানা ধরনের খেলা দেখে মজা নেই সেটা ও আবার ১৭ ইঞ্চির একটা স্ক্রিনের সামনে বসে।

আবার ছোট বেলায় অনেক সাইকেল চালানোর ও ইচ্ছে ছিলো।আর এখন আমি আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা ধরনের রেসিং গেম খেলে থাকি।তার জন্য কোন সাইকেল প্রয়োজন হয না কারণ আমি আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসব গেম খেলে থাকি।তবে এতটুকু হলেই হতো। আর টাইপিং স্পিডটা অনেক বেশি হবার কারণে এখন আর ডায়েরিতেও লিখতে ইচ্ছে করে না। আর সেইজন্য ভাবছি একটা প্রিন্টার মিশিন কিনবো।তবে প্রতিদিন ডায়েরির লেখাগুলো ও মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে সেগুলো আবার প্রিন্ট করবো।আর সেই পেজ গুলো বের করার পর সেগুলো ভালো করে রেখে দিবো।আর  সত্যি আমি নিজেই বলছি চিন্তাগুলো সত্যি খুবই ভয়ঙ্কর। কেনোনা এর সবের কারণে আমরা দিন  প্রযুক্তির কারণে অলস হয়ে যাচ্ছি কারণ এই সব প্রযুক্তি থাকার কারণে আমরা একটুও পরিশ্রম করতে চাই না।

আবার ছোট বেলায় দেখতাম অনেকই বৃষ্টি এর সময়ে বেশি ভাগ লোকজন যখন বাইরে যেতে পারতো না।তখন দেখতাম ঘরে বসে লোকজন মুড়ি ও নারিকেল মেখে নিয়ে সবাই লুডু খেলতো।আর এখন তো সবাই তাদের নিজের আন্ড্রয়েড মোবাইল এর অ্যাপের মাধ্যমে লুডু খেলতে পারে।

এটা বলার কারণ হলো আমরা সত্যি সত্যি কেউ পরিশ্রম করতে চাই না।কারণ মানুষ আগে সিঁড়ি দিয়ে বেশি ভাগ লোকজন উপরে ওঠে কিন্তু এখন বেশি ভাগ লোকজন সিঁড়ি ছাড়া তারা এখন লিফট ব্যবহার করে।আবার অনেক সময় দেখে যায় যে আমরা যখন অফিসে কম বেশি সব সময় কম্পিউটারের সমনে বসে কাজ করতে হয়।আর অনেক ধরনের কাজ পত্র নিয়ে দৌড়রা দৌড়ি করতে হয়। আর এখন সেটা আমরা সবাই মেইল এর মাধ্যমে সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।

তার মূল কারণ আমরা কেউ আর হাঁটছি না।আবার দেখা যায় যে অনেকের শরীরে মেদ বেড়ে গেছে।আর স্থুলতা ও অনেকটাই বেড়ে গেছে।কেনোনা আমরা কেউ এখন পরিশ্রম করতে চাই না আর এসব কারণেই খুব অল্প বয়সেই দেখা যায় যে লোকজনের ডায়াবেটিস সহ আরো অনেক ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।আর রোগী হবার পর ডাক্তারের পরামর্শ মতো তাদের প্রতিদিন ঠিকই হাঁটতে হচ্ছে। আর কাজটা যাতে পরে করতে না হয়।সেজন্য সবাইকে  আগে থেকেই  হাঁটার অভ্যাস করা দরকার।

১. ফিটনেস ট্র্যাকার

প্রথমেই আপনাদের কে বলে রাখি এটি আপনাকে যতক্ষণ আপনাকে ঘর থেকে বের না করাবে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা আপনাকে  চালাচ্ছেন।

বর্তমান অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের জন্য নানা ধরনের ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপস রয়েছে যেসব অ্যাপস বর্তমান অনেক জনপ্রিয় ও তা অর্জন করেছে। কারণ যখন অ্যাপস গুলো ও তারা তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেই যাচ্ছে।

কেনোনা অ্যাপের কাজ হচ্ছে মূলত আপনি সারাদিন কতটুকু হাঁটলেন সেটা আপনি পরিমাপ করতে পারবেন শুধু মাএ অ্যাপের মাধ্যমে। আর সেটা আপনি পায়ে হাঁটার ভিত্তিতে বা সময়ের ভিত্তিতে এবং দূরত্বের ভিত্তিতে।তার কারণ হলো একটা ভালো অ্যান্ড্রয়েট ফোনে আপনি কত পা হাঁটলেন সেটা গণনার করার জন্য সেন্সর বসানো থাকে আর এর মাধ্যমে আপনি নির্ভুলভাবে প্রতিদিন আপনি আপনার হাঁটার পরিমান জানতে পারবেন।

তাছাড়া ও গুগল কর্তৃক নির্মিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাপ ও রয়েছে যার নাম হলো,,গুগল ফিট,,।আর এই অ্যাপের মাধ্যমে ও আপনি এই কাজ সব করতে পারেন।আর যদি ও আপনি না দেখে থাকেন তাহলে আজকেই দেখে নিন। তবে এটির দ্বারা আপনি যে শুধু মাএ পায়ে হাঁটায় গুণতে পারবেন তা কিন্তু নয়।একই সাথে আপনি হাঁটার ও অভ্যাস বাড়ানোর জন্য এবং দৈনিক ও সাপ্তাহিক হাঁটার লক্ষ্য মাত্রা আপনি ঠিক রাখতে পারবেন।আর একটা অ্যাকটিভ লাইফ স্টাইল তৈরিতে এ ধরনের  অ্যাপের কোনো বিকল্প নেই।

তবে আপনাদের মধ্যে যারা স্যামসাং মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য তো বেশি  সুবিধা। কেনোনা স্যামসাং মোবাইল ফোন গুলোতে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য একটি অ্যাপ নির্মাণ সময়েই ইন্সটল করা থাকে।আর এই অ্যাপটির নাম হচ্ছে,, স্যামসাং হেল্থ,,। শুধু তাই নয় স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৫ এর পরবর্তী প্রায় সব মোবাইল ফোন গুলোতেই হার্ট রেট সেন্সর স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে আর তার মাধ্যমে আমরা খুব সহজ ভাবেই আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারি। তবে এমনকি স্মার্ট ওয়াচ গুলোতে ও এটি অনেক ভালো কাজ করবে।

তাছাড়াও এ ধরনের আর একটি অ্যাপ আছে।যার নাম হলো ফিট বিট (Fit bit)।আর এর মাধ্যমে আপনার অন্যান্য যে কোনো  বন্ধুদের সাথেও হাঁটা বা স্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। তবে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা ও করতে পারবেন।আর আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখার প্রতিযোগিতা করতে কোনো ক্ষতি নেই তবে তার পাশাপাশি একটু সময় নিয়ে রিসার্চ করে আপনার দৈনিক খাবারের পুষ্টি তালিকা টা ঠিক করবেন আর সে অনুযায়ী হাঁটুন।

২.বাহিরে নিয়ে যাবে এমন অ্যাপ ব্যবহার

তবে আপনাদের মনে হতে পারে এটা আবার কেমন অ্যাপ।যে অ্যাপ কিভাবে বাইরে নিয়ে যেতে পারে মানুষ কে যেমন ফটোগ্রাফির শখ থাকলে আপনাকে অবশ্যই বাড়ির বাইরে যেতে হবে।আর বিভিন্ন অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ  সুবিধা থাকে।তবে ফটোগ্রাফির প্রয়োজনে হলেও আপনাকে বাইরে যেতেই হবে অবশ্যই কেনোনা বাইরে ছাড়া আপনি আপনার ফটোগ্রাফির কাজ করতেই পারবেন না আর সেই জন্য আপনাকে অবশ্যই বাইরে যেতে হবে। তাছাড়া ও আপনি চাইলে গুগল ম্যাপেও আপনার প্রোফাইল তৈরি করে রাখতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ও হাঁটতে পারবেন।