যেভাবে আপনার ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করবেন

ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করার জন্য অনেকই অনেক বার    চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের জন্য সুখবর তবে  বাংলাদেশে শুরু হয়েছে Facebook পেজ ভেরিফিকেশন প্রসেস আর ভেরিফাইড পেজ এখন হাতের নাগালে।তবে

ভেরিফাইড পেজ মানে হলো Facebook কর্তৃক স্বীকৃত একটি ফ্যানপেজ। যার নামের পাশে নীল এবং ধূসর রঙয়ের টিকচিহ্ন থাকে।আর যাকে বলা হয় (Blue Badge) ব্লু ব্যাজ।

আপনি যদি কোন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হন তাহলো আপনি আপনার নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেটা খুব সহজেই ভেরিফাই করে নিন।আবার আপনার  কোন পরিচিত ব্যক্তি   যদি সেলিব্রেটি থাকে তাহলে আপনি তার নামে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেভেরিফাই করে নিতে পারবেন।

Facebook যদি আপনার ব্রান্ড বা কোনো কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে সেটিও ঠিক একই ভাবে ভেরিফাইড করে নিতে পারবেন বা ভেরিফাইড হিসেবে স্বীকৃত করে নেয়া যাবে।

তবে Facebook কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পেজ

ভেরিফাই করার ব্যাপারে একটি নিয়ম,

উল্লেখ করেছে সেটা হলো;

 

ফেসবুক পেজটি ভেরিফিকেশন করার জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে তারপর ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করার জন্য  আবেদন করার কথা বলা হয়েছে।তবে আগেই বলে রাখছি এই নিয়ম অনুসারে আপনি  যত ডকুমেন্ট ওই সাবমিট করেন কোননো এতে কোনো  লাভ হবেনা কারণ এতে আপনার ফেসবুক  পেজ ভেরিফাই হবেই না। বরং এতে আপনার  পেজের রিচ কমে যেতে পারে।তার কারন হলো এই নিয়মটি আসলে শুধুমাত্র মন্ত্রণালয় বা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অফিসিয়াল ও রিপ্রেজেন্টেটিভদের জন্য শুধু মাএ ।

আর  বাংলাদেশি ফেসবুক ভেরিফিকেশন এজেন্টদের দিয়ে আপনি আপনার পেজটি ভেরিফাই করিয়ে নিতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই একটি ‘হাই সিকিউরিটি’ সম্পন্ন সার্টিফ‍াইড ওয়েবসাইট লাগবে অবশ্যই, যেটা আপনাকে এজেন্টই বানিয়ে দিবে। তবে এজেন্ট আপনার পেজটি ভেরিফিকেশন করার  জন্য সাবমিট করবে তারপর ১৪ থেকে ২১ দিনের মাঝে আপনার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পেজটি ভেরিফাই  হবে।

তবে আপনাদের ফেসবুক পেজ যাচাই করার আগে কি কি জিনিস লাগবে?

১.  ফেসবুক পেজ ,,About,, কমপ্লিট করবেন।

২. এরপর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যোগ করে রাখ বেন।

ভেরিফিকেশন এর ধরণ,

১.  অটোমেটিক ভেরিফিকেশন করে রাখবেন

২. তারপর আপনি আপনার প্রমাণসহ ফর্ম পূরণ করে  আপনি আপনার ফেসবুক পেজ ভেরিফিকেশন করতে পারবেন।

৩. এরপর আপনি ম্যানুয়াল ও ভেরিফিকেশন (by taking help of near by Fb offices) (This method mostly works for only people/artists/celebrities/businesses who already have some fame।

তারপরে ফেসবুক প্রোফাইল এবং পেজে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট যোগ করা।

ওয়েবসাইটে প্রোফাইল এবং পেজের লিংক রাখা।

তবে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার  ফেসবুক পেজ পাবলিক ফিগার পেজের

ক্যাটাগরির সাথে উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য তথ্য সুত্রের   সাথে রেফারেন্স ওয়েবসাইটে মেটা ট্যাগ করতে পারবেন।

পেজটি আইফোন এর ম্যানশন অ্যাপস দিয়ে অথেন্টিক করা।

তবে ফেসবুকের পেজের প্রশাসক বা এডমিন হলে তার জন্য অফিশিয়াল একটি ওয়েবসাইট এর ডোমেইনের ইমেইল ফেসবুকে যুক্ত করে রাখতে হবে ।এক কথায়, পেজের ,,About,, অংশটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করা।আপনি যে আপনার পেজটা ভেরিফাই করবেন তা সিলেক্ট করবেন।

“Choose Files” অপশনেএ ক্লিক করে আপনার

Proofs যুক্ত করবেন।

এরপর আপনি আপনার পেজের অফিসিয়াল সাইট যুক্ত করবেন।

তারপর সেন্ড অপশনে ক্লিক করবেন।এরপর ভেরিফাই হলে আপনি জানতে পারবেন।

যে সব  জিনিস দিয়ে আপনি আপনার ফেসবুক পেজ যাচাই করতে পারবেন?

* জন্ম সনদ।

* পাসপোর্ট।

* ড্রাইভার লাইসেন্স।

তবে কিছু ভুল ধারণা ;

কেউ কেউ বলে  যে ফেসবুক  পেজ

ভেরিফাই করার জন্য পেজে অনেক বন্ধুর প্রয়োজন। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল কারণ আপনার পেজের বন্ধু  ১,০০০ হলেই  আপনি আপনার ফেসবুক পেজ ভেরিফাই করতে পারবেন