চলুন তাহলে শুরু করা যাক কিভাবে আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম খবু সহজেই ইনকাম করবেন।

বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির দেশ,কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মূল হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট।আর এই প্রযুক্তি সমূহ ও কর্মসংস্থান একটি বিশাল অবদান রেখেছে এবং বাজারে ও উন্নুক্ত করেছে।আমরা চাইলে সবাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনের  এর মাধ্যমে আমরা সহজেই সব ধরনের কাজ করতে পারি।আবার তথ্য প্রযুক্তি সেবা সমূহ কে কাজে লাগিয়ে ও উদ্যোক্তা হয়ে আমরা ঘরে বসে কাজ করে অর্থ উপার্জন  করতে পারি।তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা নানা ধরনের কাজ করতে পারি শুধু মাএ ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে।আবার ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া ও আমরা নানা ধরনের কাজ করতে পারি ঘরে বসে কম্পিউটার এর মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা আমাদের কাজগুলো করতে পারি।কম্পিউটার এর মাধ্যমে আমরা আউটসোর্সিং এর কাজও করতে পারি ও নানা ধরনের কাজ করতে পারি।

 অনলাইন থেকে ভালো ইনকাম করার মতো তিন পদ্ধতি হলো :-

১. ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি?

২. উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন কি?

৩. অনলাইনে এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার সুযোগ।

নিচে এই তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:-

১. ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং  কি :-

কোনো কর্মী কে স্বশরীরে কর্মস্হলে গিয়ে কাজ করতে হয়।আর ইন্টারনেট এর মাধ্যমে এখন বিশ্বের  যেকোন দেশের যে কোনো কর্মী এবং অন্য যেকোন দেশের কর্মদাতার কাজ করে দিতে পারে ঘরে বসে কাজ করতে পারে এবং কাজের এর পেমেন্ট অনলাইনেই নিতে পারে।তবে অনলাইনে হাজার হাজার কাজ রয়েছে ফুল টাইম ও পাট টাইম ও নানা ধরনের কাজ রয়েছে  অনলাইনে।তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ার এবং ওয়ার্কার গণ একই প্লাটফর্ম এ উপনীত হচ্ছে।আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ার গুলো তাদের কাজ গুলো অনেক কম রেটে করিয়ে নেয় অন্য দেশের কর্মীদের অনলাইনে এর মাধ্যমে  তাদের কাছ থেকে কাজ গুলো তারা অনেক সহজে করে নেয়।তবে অনলাইনে হাজারে হাজারে কাজ রয়েছে তার মধ্যে আপনার আপনাদের যোগ্যতা অনুযায়ী আপনারা কাজ করতে পারবেন।আর আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনো নিদিষ্ট কাজ নেওয়া ও সেটা আপনি আপনার কাজটি করা শেষে আপনার বায়ারের কাছ থেকে পেমেন্ট গ্রহণ করেন আর এটাই হলো আউটসোর্সিং।তবে এর মাঝে হাজার হাজার মানুষের কাজের কর্মস্থান রয়েছে।দেশে আসছে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।বিশ্বের অর্থনীতির এর ও বিকাশের সাথে সাথে আমেরিকা,ইউরোপ এবং উন্নত দেশেগুলোর প্রয়োজনের দেখা দিচ্ছে প্রচুর পরিমাণ ডেটা প্রসেসিংয়ের তার ফলে উন্নয়নশীল দেশসমূহ আইসিটি এর ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে আর দেশের প্রচুর সংখ্যক বেকার দক্ষ জনগোষ্ঠী।

ফ্রিল্যান্সিং হলো :

নিদিষ্ট যে কোনো প্রতিট্ঠানের অধীনে না কাজ করে নিজের স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো কাজ করতে পারবেন।আর আপনার যখন মন তখনই আপনি কাজ করতে পারবেন কোনো সমস্যা নেই।তবে ফ্রিল্যান্সিং এরা চাকরির জীবিদের মতো কোনো বেতন ভুক্ত নয়।কিন্তু তাদের কাজের ভিক্তিতে তারা তাদের অর্থ নিয়ে থাকে তবে অনেক সময় কম আর বেশি। আর আধুনিক যুগের বেশি ভাগ কাজ গুলো ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।আর সেজন্য সবাই ঘরে বসে ইন্টারনেট অর্থ উপার্জন করতে পারে।বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা বেশি ভাগ এধরণের কাজ বেশি করে থাকে।আবার আউটসোর্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত বিরাট জনগোষ্ঠী এখন অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারে।বাংলাদেশে প্রতি বছরে কয়েক মিলিয়ন ডলার ইনকাম করে।শুধু মাএ এই ফ্রিল্যাসিং ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে সবাই খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারে।

তবে গ্লোবাল আউটসোর্সিং ও কয়েক টি মার্কেট প্লেসের নাম হলঃ ফ্রিল্যাসিং ডট কম,,  আপওয়ার্ক,, ইল্যান্স,,গুরু,,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,, ডেটা প্রসেসিং,, ডিজাইন,, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।

২. উদ্যোক্তা উন্নয়ন কি :-

বর্তমান সময়ে পেশা নির্বাচনে আমাদের দেশে এক বিশাল পরিবর্তন দেখা যায়। কেনোনা চাকরি করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে নিজে কিছু একটা করার সপ্ন সবাই দেখে।

তবে দেশের সরকারি বেসরকারি সব জায়গায় ও কথা এবং কাজের উদ্যোক্তা সৃষ্টির তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর এই উদ্যোক্তার কারণে অনেক কর্মসংস্হান সৃষ্টি হচ্ছে। আর তার জন্য তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ দিন দিন বেড়েই চলছে কারণ সফল উদ্যোক্তার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত যা এখন  আমরা সবাই ঘরে বসেই সব কিছু পেয়ে থাকি। ২০১০ সালে সরকার ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রে ডিজিটাল সেন্টার চালু করেন। আর সেখানে মাএ একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে থাকে। আবার ঠিক ২০১৫ সালে সরকার ঠিক একই ভাবে সেবা উপশহর ও শহর এবং এলাকায় সম্পসারণ করে। তার ফলে অনেক শিক্ষিত বেকাররা এই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরকার বা বেসরকারি ভাবে তারা প্রশিক্ষণ  নিয়ে তারা নিজেরাই একেক জন ভালো মানে উদ্যোক্তা হয়ে যায়। তার মূল কারণ হলো বর্তমান যুগ টা হলো তথ্য প্রযুক্তির দেশ।

৩.  অনলাইনে এর মাধ্যমে চাকুরি পাওয়ার সুযোগ :-

বর্তমান বাংলাদেশ এখন অফিসে অফিসে গিয়ে চাকুরি খোঁজার দিন দিন কমে আসছে।কেনেনা এখন ইন্টারনেটে এর মাধ্যমে চাকুরিপ্রার্থী ও চাকুরিদাতাদের সম্মেলন করা যায়। আর এধরনের বিভিন্ন ধরনের অনলাইনে জব পোর্টাল হল, www.jobs.com  ইত্যাদি। আর এই সব ওয়েব সাইটে এর কারণে দেশের বিদেশের সব ধরনের জবের বিজ্ঞপ্তি তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়।