বর্তমান কম বেশি সবাই আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে কম্পিউটার কি এবং কম্পিউটারের কাজ কি? এবং এটা কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারি।কম্পিউটার দিয়ে আমরা প্রায় সব ধরনের কাজ করতে পারি খুবই সহজে।তো চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আজকের মতো শুরু করা যাক বন্ধুরা।
কম্পিউটার এর সাহায্যে মূলত,
কেনোনা কোনো সীমিত সংখ্যা দিয়ে কম্পিউটারকে আর গন্ডীবদ্ধ করা যায় না।তার কারণ কম্পিউটার সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় কোটি কোটি হিসাব-নিকাশ করতে পারবেন।আর কম্পিউটার এর কাজের গতি ও হিসাব করা হয়।
কম্পিউটার এর কাজ ;
কম্পিউটারের চারটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিচে উল্লেখ করা হল;
সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি প্রোগ্রাম (Programs) কম্পিউটার গ্রহণ করে মেমারিতে সংরক্ষণ করে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশে কম্পিউটার প্রাগ্রাম নির্বাহ (Execute) করে।কী-বাের্ড, মাউস, জয়স্টিক, ডিস্ক ইত্যাদির মাধ্যমে কমপিউটার ডেটা (Data) গ্রহণ করে থাকে।আর ডেটা (Process ) প্রক্রিয়াকরণ করে।আবার মনিটর ও প্রিন্টার ইত্যাদির মাধ্যমে কম্পিউটার ফলাফল প্রদান করে থাকে।
কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হলো ;
তবে বিভিন্ন যন্ত্রের মত কম্পিউটার এর ও নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে।
এর কয়েকটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল–দ্রুতগতি (High speed)
নির্ভুলতা (Correctness)
সূক্ষ্মতা (Accuracy)
বিশ্বাস যোগ্য তা (Reliability)
ক্লান্তিহীনতা (Dilligence)
স্মৃতিশক্তি(Memory)
স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)
বমুখিতা (Versatility)
অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life) ইত্যাদি।
নিম্নে কম্পিউটার এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
দ্রুতগতি (High speed) :
বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে কাজ করে বিধায় কম্পিউটার খুবই দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারে।আর কম্পিউটার এক সেকেন্ডে প্রায় কয়েক কোটি যোগ করতে পারে।তব কম্পিউটার এর সময়ের একক হলো ন্যানোসেকেন্ড ও পিকোসেকেন্ড।
নির্ভুলতা (Correctness) :
আর কম্পিউটারকে এক ধরনের মেশিন বলা হয়। যা মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটার খুবই সহজে ফলাফল প্রদান করে থাকে।তবে কম্পিউটার কখনো ভুল করে না।আর কম্পিউটার এর নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ।
সূক্ষ্মতা (Accuracy) :
কম্পিউটার এর স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি। তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুল ভাবে গাণিতিক ও ক্রিয়া কলাপ করতে পারে।আর এ জন্যই বিশেষ করে কম্পিউটার এর সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়।
বিশ্বাস যোগ্য তা (Reliability) :
তবে কম্পিউটার এর নির্ভুল এবং সূক্ষ্মভাবে কাজ করে থাকে।আর কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে।তাই কম্পিউটার কখনো ভুল করে না তবে মানুষ করে, এটাই প্রমাণিত।
ক্লান্তিহীনতা (Dilligence) :
কম্পিউটারকে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বলা হয়। আর এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলো ক্লান্তিহীনতা।তবে কম্পিউটার রাত দিন ও ক্লান্তিহীন বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীন ভাবে কাজ সক্ষম হয়।
স্মৃতিশক্তি (Memory) :
আর কম্পিউটার এর নিজস্ব স্মৃতিশক্তি মেমোরি আছে। তবে কম্পিউটার এর মেমোরিতে নির্দেশ প্রাগ্রোম বা প্রযোজনীয় ডেটা ও প্রক্রিয়াজাত ফলাফল এবং ইনফরমেশন সংরক্ষিত করে এতে রাখা যায়।
স্বয়ংক্রিয়তা (Automation) :
তবে কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে।আর এ জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ও মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়।তাছাড়া আর ও অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। যেমন, কল-কারখানায়, বিস্ফোরক গবেষণায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারের বহুমুখিতা (Versatility) :
বর্তমান কম বেশি সব কাজেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।আর সে জন্যই কম্পিউটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বহুমুখী কাজে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। আর কম্পিউটার একটি প্রাগ্রোম এর নির্ভর যন্ত্র।তবে যখন যে প্রোগ্রাম কম্পিউটার লোড করা হয়।আর তখন সেই প্রাগ্রোম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব-নিকাশের প্রাগ্রোম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শোনা যায়। ইত্যাদি আরো অনেক কাজ করা যায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার;
ওয়ার্ড প্রসেসিং বা লেখালেখির কাজে টাইপরাইটারের বিকল্প হিসেবে অফিস আদালতে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।ব্যাংকিং, শেয়ার বাজার ও ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের হিসেব তৈরি ও সংরক্ষণের কাজে গতানুগতিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে আজকাল কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।অফিসের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার কাজে আজকাল কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।শিল্প ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের কাজেও কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।যন্ত্রপাতি, মোটরগাড়ি, জাহাজ, অ্যারোপ্লেন, ঘরবাড়ি, ব্রিজ ইত্যাদি ডিজাইন করার ক্ষেত্রে।বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজে।একস্থান থেকে অন্যস্থানে সংবাদ প্রেরণের ক্ষেত্রে।শিক্ষাক্ষেত্রে।বিনোদনের ক্ষেত্রে যেমন টিভি দেখা, ভিডিও দেখা ও গান বাজানো ইত্যাদি।