কেননা আমরা সবাই  জানি যে  নেটওয়ার্ক শুধু একটি প্রতিষ্ঠান বা একটি শহরে জন্য সীমাবদ্ধ নয় এমনকি যে কোনো দেশের জন্য সীমাবদ্ধ নয়,নেটওর্য়াক এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে । আর যার অর্থ বিশ্বে যে কোনো জায়গা থেকে সিগন্যাল পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় পৌছে দিতে হয়। কাছাকাছি জায়গায় হলে বৈদ্যতিক তার দিয়ে পাঠানো যেতে পারে কিন্তু বিশ্বে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠাতে হলে স্যাটে লাইট বা অপটিক্যাল ফাইবার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।

স্যাটেলাইটঃ

তবে স্যাটেলাইট এর উপগ্রহও মহাকাশের থেকে বিশ্বে কে ঘিরে ঘুরতে থাকেন।আর তবে এটি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে এটি ঘুরে আর তাই এটিকে মহাকাশে রাখার জন্য কোনো জ্বালানি বা শক্তি খরচ করতে হয় না তাদের ।তবে পৃথিবী তার অক্ষে ঘুরে আসে চব্বিচ ঘন্টায়,সময় লাগে আর  স্যাটেলাইটকেও যদি ঠিক চব্বিশ ঘন্টায় একবার পৃথিবীকে ঘুরিয়ে আনা যায় তাহলে পৃথিবী থেকে মনে হবে সেটি বুঝি আকাশের ও কোনো এক জায়গায় স্থির হয়ে আছে।আর এ ধরনের স্যাটেলাইট কে বলে হয়ে থাকে জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট।

তবে যেকোনো উচ্চতায় জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট রাখা যায় না।আর এটি প্রায় ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ পথে রাখতে হয়। আকাশে একবার জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট বসানো হলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে সেখানে সিগন্যাল পাঠানো যায় এবং স্যাটেলাইট সেই সিগন্যালটিকে নতুন করে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পাঠিয়ে দিতে পারে। এই পদ্ধতিতে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে রেডিও, টেলিফোন,মোবাইল ফোন,কিংবা ইন্টারনেটে সিগন্যাল পাঠানো যায়।

স্যাটেলাইরে এর ব্যবহার 

. টেলিফোনের কাজে সম্প্রচার।

. ইন্টারনেট ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার।

. অপেশাদার  রেড়িও যোগাযোগের ক্ষেত্রে

ব্যবহার করা হয়।

. বিভিন্ন প্রকার প্রতিট্ঠানের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ।

. পৃথিবীর জলবায়ু এবং আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

. প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহার করা।

. দূরের গ্রহ গ্যালাক্রি এবং মহাশূন্যের বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হয়।

স্যাটেলাইটের কমিউনিকেশন  সিস্টেমের সুবিধা :

. আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব।

. ভয়েস কলিং, ভিডিও কলিং, রেডিও, টেলিভিশন চ্যানেল,ইন্টারনেট, ইত্যাদি সেবা পাওয়া যায়।

. একটি মূল্য সাশ্রয়ী ব্যবস্থা আর এর মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে লং ডিসটেস্ন কল করা যায়। ৪. বিপুল পরিমাণ ডাটা আদান-প্রদান করা সম্ভব।

. প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্যাটেলাইটের কমিউনিকেশন সিস্টেম এর অসুবিধা :

. তবে স্যাটেলাইটের প্রযুক্তিটির বাস্তবায়ন ও তদারকি বিষয় টি ব্যয়বহুল।

. কেনোনা এই স্যাটেলাইট পৃথিবীর থেকে অনেক উঁচুতে হওয়ায় আর সেখানে সিগন্যাল পাঠাতে অনেক বড় এন্টেনার প্রয়োজন হয়।

. স্যাটেলাইটের কমিউনিকেশনের ক্ষেএে সিগন্যাল ডিলে একটি  অসুবিধা হিসেবে আবির্ভুত হয়।

. ভ্রমণরত অবস্থায় খারাপ আবহাওয়ায় কিংবা সানম্পট এর কারণে বিভিন্ন সেবা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

১৯৬৪ সালে প্রথম যখন এভাবে মহাকাশে প্রথমবার জিও স্টেশনারি স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়,তখন যোগাযোগের ক্ষেএেএটি নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হয়েছিল। স্টেলাইট দিয়ে যোগাযোগ করার সমস্যা রয়েছে।যেহেতু স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে অনেক উচুতে থাকে তাই সেখানে সিগন্যাল পাঠানোর জন্য অনেক বড় এন্টেনার দরকার হয়।দ্বিতীয় সমস্যা এজটু বিচিত্ত। পৃথিবী থেকে যে সিগন্যাল পাঠানো হয় সেটি ওয়্যারলেস সিগন্যাল।ওয়্যারলেস সিগনাল দ্রুত বেগে গেলেও এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করতে একটু সময় নেয়।তাই টেলিফোনে কথা বললে পাশ,থেকে কথা টি সাথে সাথে না শুনে একটু পরে শোনা যায়।

অপটিক্যালফাইবারঃ-

অপটিক্যাল ফাইবার অত্যন্ত সরু এক ধরনের প্লাস্টিক কাচের তন্তু। অপটিকাল ফাইবার দিয়ে আলোক সিগন্যাল পাঠানো হয়। ঠিক যেমনি বৈদ্যুতিক তার দিয়ে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠানো হয়। আমাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে পারে, যে অপটিক্যাল ফাইবার মধ্যে দিয়ে কিভাবে আলোক সিগন্যাল পাঠানো হয়।পৃর্ণ অভ্যন্তরীন প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোক সিগন্যাল অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে পাঠানো হয়। বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে প্রথমে আলোক সিগন্যালে পরিণত করা হয়।এরপর আলোক সিগন্যালকে অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে পাঠয়নো হয়।

অপরপ্রান্তে আলোক সিগন্যালকে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে পরিণত করা হয় এভাবেই অপটিক্যাল ফাইবারের মধ্যে দিয়ে সিগন্যাল পাঠানো সম্ভব হয়। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানল সম্ভব হয়। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে এক সাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানো সম্ভব। ইদানীং অপটিক্যাল ফাইবার যোগাযোগ এত উন্নত হয়েছে যে পৃতিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবারের নেটওয়ার্ক দিয়ে একে অন্যের সাথে সংযুক্ত।